বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:২২ অপরাহ্ন
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি॥ রাজশাহীর বাঘায় কালো ব্যাচ ধারন করে মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে হত্যাকারিদের ফাঁসির দাবি করেছে এলাকাবাসি। মানববন্ধনে রাজু (১৭) নামের এক ভ্যানচালককে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসি দাবি করেন এলাকাবাসি। নিহত রাজু বাঘা উপজেলার বাউসা মাঝপাড়া গ্রামের আজিজের ছেলে।
বুধবার (৭ নভেম্বর) সকালে উপজেলার বাউসা বাজার প্রাঙ্গন এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে রাকিবুল ইসলাম শিমুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বাউসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম টগর, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক, বাউসা হাজিপাড়া মাদ্রাসার সভাপতি ও জাতীয় পার্টির নেতা আব্দুল ওয়াহাব, বাউসা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি সাইদুর রহমান ভুট্টু প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী, শাহাজান মোল্লা, ফজল মিঞা, নান্টু প্রামানিক, সোহেল রানা, নিহতের মা ও ভ্যানচালকসহ এলাকার সর্বস্তরের জনগন। পরে বিক্ষোভ মিছিল এলাকার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।
বক্তারা বলেন, গত বুধবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে, নিজ উপজেলার হরিপুর বাজার থেকে চারঘাটের নন্দনগাছির হাবিবপুর যাওয়ার জন্য ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান ভাড়া করে, একই উপজেলার বাউসা মাঝপাড়া গ্রামের মহিরের ছেলে আল মামুন ওরফে মামুন ও খলিল উদ্দীনের ছেলে শাকিরসহ অজ্ঞাত আরো দুইজন। রাতে চারঘাটের হাবিবপুর মাদ্রাসা এলাকায় তারা রাজুকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ভ্যানটি ছিনিয়ে নেয়। গভীর রাতে অবস্থান করায়,সেখানকার স্থানীয় লোকজন ভ্যানটি ছিনতাইয়ের সন্দেহে আল মামুন ওরফে মামুনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় কৌশলে পালিয়ে যায় শাকিল। খবর পেয়ে চারঘাট মডেল থানা পুলিশ চারঘাটের হাবিবপুর মাদ্রাসা এলাকার ধান ক্ষেত থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজুর মরাদেহ উদ্ধার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বিকার করে জড়িতদের নামও বলে মামুন।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, বাবার অসুস্থতায় সংসারের দায়ভার কাঁধে নিয়ে ৭ম শ্রেণী থেকে লেখা পড়া বাদ দিয়ে ভ্যান চালানোর পেশায় ছিলো রাজু। তার উপার্জন দিয়েই চলতো সংসার।
চারঘাট মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় রাজুর মা রোজিনা বেগম বাদি হয়ে মামুন ও শাকিলসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ব্যাটারিচালিত অটো ভ্যান উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী জানান, তিনিও হত্যায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছেন।